ভাস্কর্য ইস্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসাইনকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
যে স্ট্যাটাসটির কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয় তাও একটি পড়ে নিন…
বিদায় হজ্জের ভাষনে রাসূল (সাঃ) বলেছিলেন ঃ
“আমি তোমাদের জন্য ২ টি জিনিস রেখে যাচ্ছি –
১.আল কুরআন
২.আল হাদিস
যদি তোমারা এ দুটোকে আঁকড়ে ধর,তবে তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না ”
অথচ আজ আমরা এ দুটার আশেপাশে পাশেও নেই , সুরা ফাতিহা পড়তেই ৩২টা দাঁতের মাঝে মহাযুদ্ধ বেধে যাবার উপক্রম হয়ে যায় ,শুক্রবার ছাড়া মসজিদের আশেপাশেও যাওয়া হয় না, উত্তরাধিকার সূত্রে মুসলমান হয়েছি,কুরআন হাদিসের দুই অক্ষর জ্ঞানও নাই, অথচ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মুফতি সাহেব সেজে ফতোয়া দিয়ে বেড়াচ্ছি! হারামকে হালাল বানাচ্ছি আর হালালকে হারাম !!
তাদের যুক্তিগুলো বেশ দারুণ ঃ
#রহিমুদ্দী মুসলমান, সে নামাজ পড়ে না, তাই আমি নামাজ না পড়লেও চলবে, তাই না??
#ওমুক দেশে, তমুক দেশে ভাস্কর্য আছে, মূর্তি আছে, সুতরাং মূর্তি বানানো সওয়াবের কাজ !!
#ওমুকের ঘরে কুরআন নাই, তাই কুরআন পড়া হারাম!
#
#মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্তদের মধ্যে কোন মুফতি নাই, মাওলানা নাই, হুজুর নাই, তাই এদেশ নিয়ে কথা বলার অধিকার তাদের নাই, তাই না?? তবে ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের ৭ জন ই মুসলমান, বীর উত্তম ৬৮ জনের মধ্যে ৬৭ জন মুসলমান, বীরবিক্রম ১৭৫ জনের মধ্যে কতজন মুসলমান? খবর আছে ? মাত্র ১৭২ জনই মুসলমান ! বীরপ্রতীক ৪২৬ জনের মধ্যে কতজন মুসলমান ?? খোঁজ নিয়ে দেখা দরকার!
আর এরা ইসলামটা কাদের কাছ থেকে শিখছে??
কুরআনে আল্লাহ বলেছেন ঃ
“যদি স্বয়ং মুহাম্মাদ (সাঃ) আমার নামে তার কথা রচনা করে চালাত,তবে তার দক্ষিণ হস্ত চেপে ধরতাম, আর কেটে ফেলতাম তার গ্রীবা! তোমাদের কেউ তাকে রক্ষা করতে পারতো না ” (সূরাহ হাক্কাহ)
কুরআনের একটা আয়াতও যদি কেউ বিকৃত করে তার পরিনতি কি হতে পারে, কল্পনা করা যায় ?
মামুনুল হক যদি কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা করে,তার কন্ঠনালী কেটে দাও, যদি কুরআন ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলে, আল্লাহ এটাকে হারাম করে, তবে কোন বাপের ব্যাটা এটাকে হালাল করার সাহস রাখে ??
কুরআনের বিরোধিতা যেই করবে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াত ১ সেকেন্ডও অপেক্ষা করবে না ঈমানদাররা! হোক সে মামুনুল হক, মুজিব, জিয়া, ! হোক সে আওয়ামী, বিএনপি, বামাতি বা জামাতি!
ইসলামের প্রতিনিধিত্ব রহিমুদ্দ,সলিমুদ্দি, কলীমুদ্দিরা করে না, স্বয়ং আল্লাহর রাসূল করেন!
ইসলাম শিখতে হলে কুরআন হাদিসের জ্ঞান অর্জন করতে হবে, মনগড়া যুক্তি খাটবে না!
একটা কথা মাথায় রাখবেন,
আল্লাহর কোন আইন যদি আপনি না পালন করতে পারেন, সেটা অন্য কথা! তবে যদি তার কোন আইনের বিরোধিতা করা তো দূরের কথা, অস্বীকারও যদি করেন, আর নিজেকে যতই ঈমানদার দাবি করেন না কেন, মনে রাখবেন,আপনি খাঁটি মুসলমান না, পাক্কা মুনাফিক! আপনার বিরুদ্ধে লড়াই করাও খাঁটি মুসলমানের জন্য ফরজ!
——————————-
কবির হোসেন
যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, জসীমউদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগ
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।